ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়
পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের
কাজ। ১৯৯২ সাল থেকে এই ভবনে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়। ভবনের
প্লাস্টার খসে পড়ে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে ভূমি
রেজিস্ট্রেশনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সাবরেজিস্ট্রি ভবনে উপজেলার জমি সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও
দলিল থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ ও ড্যামকৃত স্যাঁতসেঁতে ভবনে এসব নথি
নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের দক্ষিণপাশে নির্বাচন
অফিসসংলগ্ন জরাজীর্ণ একতলা ভবনের দুটি কক্ষ নিয়ে উপজেলা
সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়। কক্ষ দুটির মধ্যে বিমের ও ছাদের একাধিক
স্থানের প্লাস্টার খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। ওই রডগুলোয় মরিচা
ধরেছে। এ ছাড়া দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটলসহ ড্যাম ধরেছে।
একেবারেই জীবনের ঝুকি নিয়ে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে ভ’মি
রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য অফিস সংলগ্ন
শৌচাগার থাকলেও এখানে জনসাধারণের জন্য নেই কোন শৌচাগার ও
সুপেয় পানির ব্যবস্থা। জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা শত শত লোকের
আনাগোনা এই অফিসে।
সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি মেরামত করার জন্য তৎকালীন সাবরেজিস্ট্রার
স্বাক্ষরিত একটি আবেদন ঝিনাইদহ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী
বরাবর পাঠানো হয়। এরপর ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা
উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করেন। তিনি মেরামতের
অযোগ্য বলে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবরে পত্রে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার
সুপারিশ করেন। এরপর কেটে গেছে কয়েক বছর। তবে জমি অধিগ্রহন
করা হলেও টেন্ডারসহ ভবন নির্মাণের কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি।
জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা ধাওড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন,
সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি একবারেই জরাজীর্ণ, অনেকটা জীবনের
ঝুকি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছি। যে কোন সময় বড় ধরণের
দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।আমাদের দাবী অতি দ্রুত নতুন ভ’মি রেজিষ্ট্রি
ভবনের কাজ শুরু হোক।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান মনীর
বলেন,অনেকটা ঝুকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনেই জমি রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম
চালানো হচ্ছে। এছাড়াও এখানে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র সংরক্ষণ করা
কঠিন হয়ে পড়ে। আশা করি স্বল্প সময়েই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে ।
এ বিষয়ে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার বলেন, বেশ
ঝুঁকির মধ্যে অফিস করছি।রুমে বাঁশের সাথে ফ্যান ঝুলানো রয়েছে ,
রুমের পরিবেশ স্যাঁত স্যাঁতে, পলেস্তারা খসে পড়ছে যে কোন সময় বড়
ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।তবে ২-৩ মাসের মধ্যে নতুন ভবনের টেন্ডার
হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,
সাব রেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।