শৈলকুপা(ঝিনাইদহ)ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপার খালকুলা গ্রামে বাড়ির সীমানা জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমজাদ হোসেন (৫০)খুনের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ১৯ অক্টোবর ঝিনাইদহ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছেন ভূূক্তভোগীরা, পিটিশন নং সি আর ৪৫১/২২। তবে প্রতিপক্ষরা বলছে কোন হামলা ও ভাংচুর হয়নি। খুনের মামলার আসামীরা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আমজাদ হোসেনের সাথে তার চাচাত ভাই মোক্তার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, নবীন হোসেন ও উজ্জল হোসেনের সাথে বাড়ির সীমানার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আমজাদ হোসেন ১৪ অক্টোবর খুন হয় এবং নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৪ অক্টোবর শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা করে । হত্যা পরবর্তী গ্রেফতার আতংকে আসামীরা পলাতক থাকায় এই সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন আসামীদের বাড়ি থেকে মালামাল লুট এবং ঘরবাড়ি ভাংচুর করছে বলে জানা যায়। বাড়িতে আসামীদের অবর্তমানে কোন পুরুষ, মহিলা থাকতে পারছে না। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে আসামীদের বাড়িতে।
সরে জমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার খালকুলা গ্রামের জনশূন্য বসতবাড়ি গুলো ভাংগা অবস্থায় নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে সেইসাথে কয়েকটি ঘরের জানালা দরজা ও চালের টিন খুলে নিয়ে গেছে। ঘরের মধ্যে কোন থালা বাটি আসবাবপত্র নেই।বাড়িতে মহিলা পর্যন্ত দেখা যায়নি। ভয়ে সবাই বসতবাড়ি ছেড়েছে।ভিটের মাটি পর্যন্ত কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,এক কথায় ভিটে উচ্ছেদ চলছে।ধ্বংস হচ্ছে বাড়িঘর আর লুট হচ্ছে ঘরবাড়ির মালামাল সেইসাথে লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে আসামীদের ছেলে মেয়েদের।
হত্যা মামলার আসামী মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আসামী হওয়ায় বাড়িতে থাকতে পারছি না এই সুযোগে আমাদের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে এমনকি বাড়ির ইট ও টিন খুলে নিচ্ছে এবং ভিটের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।আমাদের কোন লোকজন বাড়ি থাকতে পারছে না তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন,আমরা বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত না। গ্রামের কেউ জড়িত থাকতে পারে।
এব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আইন অমান্যকারীদের কোন ছাড় নেই।
উল্লেখ্য ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চাচাত ভাইয়েরা আমজাদ হোসেনকে লাঠিপেটা করে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয় এবং চিকিৎসারত অবস্থায় ১৪ অক্টোবর শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।