শৈলকুপায় নলকুপের পানির তীব্র সংকট
স্টাফ রির্পোটার: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন
গ্রামে পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। পানির সংকট কাটাতে কেউ
কেউ বাড়িতে নতুন করে সাব-মারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছে।
পানির স্তর আরো নীচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি না উঠায় হাজার হাজার
মানুষ বিপাকে পড়েছে।উপজেলায় নলকুপ ৬০৫০টি ও সাবমার্সিবল পাম্পের সংখ্যা
৫০০ এর মত।
শনিবার সরেজমিনে উপজেলার পৌর এলাকার কবিরপুর, আউশিয়া,মাঠপাড়া,
হাসনাভিটা, বালিয়াডাংগা, চতুড়া, ঝাউদিয়া, সারুটিয়া ইউনিয়নের
নাদপাড়া,ভাটবাড়ি, কাতলাগাড়ি,নবগ্রাম, চরবাখরবা,কাচেরকোল ইউনিয়নের
কচুয়া,হামদামপুর, কাঁচেরকোল, দিগনগর ইউনিয়নের তমালতলা, সিদ্দি, দেবতলা,
অচিন্তপুর, বেণীপুর,হড়রা, উমেদপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া, ব্রাহিমপুর, বিএলকে,
রয়েড়া,আবাইপুর ইউনিয়নের হাটফাজিলপুর, রুপদা,
ব্যাসপুর,কাকুড়িয়াডাংগা,মীনগ্রাম, বগুড়া ইউনিয়নের শীতালী, দলিলপুর,
আওদা,কামান্না,নাগিরাটসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, টিউবয়েলে
পানি না ওঠার কারণে পুকুরের পানি দিয়েই চলছে হাজারও মানুষের দৈনন্দিন
কার্যক্রম। হঠাৎ দু-একটি বাড়িতে টিউবয়েল থাকলেও সেখানে একটু পানি
নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে উপচেপড়া ভিড় জমাচ্ছেন গৃহবধূরা। সামর্থবান
অনেকে আবার টিউবয়েলে পানি পেয়ে সাব-মারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানি
তোলার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেখানেও দেখা গেছে লম্বা লাইন। নলকূপ থেকে
পানি ওঠানোর জন্য নতুন করে মাটি খোড়াসহ নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। তবুও
এর কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। তবে কিছু কিছু এলাকায় ভ্যাটিক্যালযুক্ত নলকূপে
সামান্য কিছু টিউবওয়েলে পানি উঠলেও হাজারেরও বেশি টিউবয়েলে একেবারেই
পানি উঠছে না। যে কারণে ক্রমান্বয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র-সংকট দেখা
দিয়েছে এলাকায়।
পৌর এলাকার চতুড়া গ্রামের বাসিন্দা আঃ রহিম বলেন পানির অপর নাম জীবন,
পানি ছাড়া জীবন বাঁচবে না। পানি কিনে খাওয়াও আমাদের মত অল্প আয়ের
মানুেষর সম্ভব না। বর্তমান আমরা হাজার হাজার মানুষ চরম পানি সংকটে
পড়েছি। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল বিশ^াস বলেন, আমার নিজের
বাড়ির টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে
টিউবওয়েলে পানি না উঠায় হাজার হাজার মানুষ তীব্র পানি সংকটে পড়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ আসিফ আলম পানি সংকটের সত্যতা
স্বীকার করে জানান, পানির লেয়ার শুষ্ক মৌসুমে নীচে নামার কারনে ব্যক্তিগতভাবে
স্থাপিত নলকুপে পানি পাচ্ছে না যার ফলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে, জরুরী
ভিত্তিতে স্পেশাল প্রকল্প নিয়ে পানি সমস্যার সমাধান করতে হবে।পানি সরবরাহ
অথবা নলকুপ স্থাপনে কারিগরী সহায়তার প্রয়োজন হলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য
প্রকৌশল অফিস দিবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন,পানি সংকটের কথা
শুনেছি। এ সমস্যার সমাধানের জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সহায়তা
করবে।