শৈলকুপায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
স্টাফ রির্পোটার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রইচ মন্ডল নামের এক পাষন্ড স্বামী নাজমা
খাতুন(৪০) নামে তার স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করেছে । ঘটনাটি উপজেলার ১নং ত্রিবেনী ইউনিয়নের
পদমদি গ্রামে। নিহত নাজমা খাতুন পদমদী গ্রামের মৃত ইজাহার শেখের কন্যা ও নাজমার স্বামী রইচ মন্ডল
চর ত্রিবেনী গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ
সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। এ ঘটনার পরপরই নাজমার স্বামী পলাতক বলে জানা যায়।
নাজমা খাতুনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চম্পা খাতুন জানান, নাজমার সাথে রইচের ২৮ বছর আগে বিবাহ
হয়। নাজমার স্বামী রইচ উদ্দিন ঢাকাতে তার ছোট ভাই তারেক এর নাম ধারন করে মন্ডল গ্রুপের একটি
পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন কাজ করেন। নাজমা খাতুন বাড়িতে থাকে। তাদের সংসারে দুটি সন্তান
রয়েছে। গত কোরবানীর ঈদের আগে জানা জানি হয় রইচ উদ্দিন ঢাকাতে আরেকটি বিবাহ করে সংসার
করছে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। ঘটনার তিন দিন আগে রইচ শশুর বাড়িতে আসে। রবিবার
রাতে নাজমা ও রইচ সাত বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে শশুর বাড়িতে রাতে অবস্থান করে। রাত ১১-৩০টার দিকে
রইচ তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর ঘাতক রইচের ভাই মোঃ তারেক নাজমার
ফুফাতো বোন সাজনুর খাতুনকে নাজমার খোজ নিতে বলে। এরপর সাজনুর খাতুন নাজমার চাচাতো
ভাইয়ের স্ত্রী শাহানাজকে নাজমার সাথে যোগাযোগ করতে বলে। এরপর রাতে নাজমার সাথে মোবাইলে
যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে না পাওয়া গেলে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শাহানাজ নাজমার
ঘরে গিয়ে দেখে নাজমার শিশু সন্তান অন্ধকার ঘরে দরজার পাশে কান্নাকাটি করছে। সে ঘরে প্রবশ করে
দেখে গলাকাটা অবস্থায় বিছানায় নাজমার মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় পরে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা
নাজমার মরদেহ উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শৈলকুপার পদমদী গ্রামে নাজমা খাতুন
নামের এক গৃহবধূর কলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই তার স্বামী পলাতক রয়েছে।
মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান।