শৈলকুপায় শিব মূর্তি ভাঙ্ধসঢ়;চুরের অভিযোগ
স্টাপ রিপোটার: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শিব মূর্তি
ভাঙ্ধসঢ়;চুরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মনোহরপুর
ইউনিয়নের বিজলিয়া গ্রামের বিজলিয়া কুঠিবাড়ী কালি মন্দিরে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে শিব মূর্তিটি ভেঙ্গে রেখেছে তবে
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বলছে মূর্তি ভাঙ্গা হয়নি, মূর্তি দুইটি সরিয়ে
রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ওই গ্রামের কুমার নদীর পূর্ব পাশে কালি
মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরের ভিতরে পাশাপাশি দুইটি মূর্তি রয়েছে এরমধ্যে
একটি শিব মূর্তি ও আরেকটি ষষ্টি মূর্তি। শিব মূর্তিটির গলা ও ডান হাত
ভেঙ্গে বেদীর পিছনের দিকে উপুর করে ফেলে রাখা হয়েছে এবং ষষ্টি মূর্তির কোল
থেকে ছোট বাচ্চার মূর্তিটি সরিয়ে মন্দিরের পেছনের দেয়ালে হেলান দিয়ে রাখা
হয়েছে।মন্দিরে মূর্তি দুটির কোন সুরক্ষা ব্যাবস্থা নেই। নেই কোন গেট বা
গ্রীল। কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের
ধারণা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি ইসলাম ও
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের শৈলকুপা সার্কেলের এএসপি অমিত কুমার বর্মন। এ
সময় উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ’মি) বনি
আমিন,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঠাকুরদাশ মন্ডল,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিজলিয়া কুঠিবাড়ী কালি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার বলেন,১০০ বছর
ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এখানে পুজা অর্চনা করে আসছে। গতকালও দেখেছি
মন্দিরের অভ্যন্তরে অবস্থিত মূর্তিগুলো ভাল ছিল আজ সকালে দেখছি মূর্তি ভাঙ্গা।
কেউ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়
বিচার আশা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন,ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে
সাথেই মন্দির পরিদর্শন করেছি। এখানে মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি।
মূর্তিটা কেউ পাশেই সরিয়ে রেখেছে।মন্দির সুরক্ষিত না থাকায় এমনটি
হয়েছ্ধেসঢ়;, অতি সত্বর আমরা মন্দিরের সু রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব
শৈলকুপা থানার ওসি ঠাকুর দাস মন্ডল বলেন, মন্দিরে মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি।
তবে কেউ মূর্তিটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পাশেই সরিয়ে রেখেছে। মন্দির
যেহেতু সুরক্ষিত না তাই আপাতত পাশেই অন্য মন্দিরে মূর্তি দুইটা স্থানান্তর
করা হয়েছে। মন্দিরে গেট বা গ্রীল লাগানোর পর আবার মূর্তিগুলো নির্দিষ্ট
জায়গায় রাখা হবে। তবে এ ব্যাপারে মন্দির কর্তুপক্ষ মামলা দিলে মামলা নিব।