শৈলকুপার ভাটই কলেজে দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।। অধ্যাক্ষ উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি
আব্দুল জাব্বার: ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নেয়। এ সময় তারা অধ্যাক্ষ আ খ ম মামুনুর রশিদ ও উপাধ্যক্ষ আশরাফুল মল্লিকের পদত্যাগ দাবি করেন । বৈষম্যের ঠিকানা, এই ঝিনেদায় হবে না, বলে এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত একটি অভিযোগ
কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন পাঠ করেন।
অভিযোগে বলেন,
অধ্যক্ষ নিয়মিত কলেজে আসেন না , কলেজে মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসেন। পরবর্তী সময়ে এক সাথে সব স্বাক্ষর করেন।
তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগার শুশুর (সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ও উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশার্রফ হোসেন সোনা) এবং শ্যালকের ভয় দেখিয়ে, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের দীর্ঘদিন জিম্মি করেছেন, এখন নতুনভাবে স্থানীয় দলের সাধে আতাত করে শিক্ষকদের আবার শোষনের পায়তারা শুরু করেছেন।
অফিস সহ কলেজের সার্বিক অব্যবস্থাপনা করে একটি সনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন। ২০১৯ সালে মৃত ও অন্যত্র চলে যাওয়া ডিগ্রি শিক্ষকের পদে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে, অবৈধভাবে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন।
তৎকালীন সভাপতির ( আব্দুল হাই এমপি) স্বাক্ষর জাল করে অধ্যাক্ষ ও উপাধ্যক্ষ দুজনে মিলে টিউশন ফির ১২ লক্ষ্য টাকা চেকের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
করোনাকালীন সময়ে সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফি র (৪০০ জনের) ৪০০ টাকা করে রেখে দিয়ে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সর্বসম্মতিক্রমে, হাসানুজ্জামান নামে একজনকে নিয়োগ দিয়ে, নিয়োগের টাকা কলেজে ব্যয় করার শর্তে রাজি হয়ে, সেটি ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন।
কলেজ জাতীয়করণের পরে ফান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও দুজন ৬০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
বিভিন্ন কর্মকর্তা শিক্ষকরের ব্যক্তিগত টাকা ধার নিয়ে, চাইলে অফিস থেকে নিতে বলেন, কমিটির কাছে ধারদাতার নামে আত্মসাৎ এর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করেন।
বৈধ নিয়োগ বোর্ডের পত্রিকা, মূল কপিকে টেম্পারিং করে, সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালকরে ২৩ জুন ২০২৩ সালে ২৯ জনকে অবৈধ নিয়োগ দিয়েছেন। এবং বৈধ অনার্স ও ডিগ্রির ৩য় শিক্ষকের ভবিষ্যৎ হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছেন।
উক্ত অবৈধ নিয়োগে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা দুজনেই নিয়োগ বানিজ্য করে আত্মসাৎ করেছেন।
প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শত শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ কলেজকে অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া ও জরাজীর্ণতে পরিনত করেছেন।
অধ্যক্ষের নিজের নিয়োগের ক্ষেত্রে কাম্যযোগ্যতা নেই (এইচএসসি কম্পার্টমেন্টাল-১৯৮৯) পাশ কোর্স থেকে পাশ (তাও কোনো ১ম শ্রেনি নেই)।
পরবর্তীতে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ নিয়মতান্ত্রিকভাবে অধ্যক্ষ ও উপধাক্ষের পদত্যাগের ব্যাপারে একমত হন।
আন্দোলনের সময় কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন না। তাদের যোগাযোগ পাওয়া যায়নি, তাদের মন্তব্য জানা যায়নি।
এ সময় বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহের সমন্বয়ক, আবু হুরায়রা, রিহান হোসেন রায়হান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।