শৈলকুপায় বিএনপি’র দু গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক আহত
নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ধারের টাকাকে কাজের টাকার বিনিময়ে কাটাকাটি করা কে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শৈলকুপা উপজেলার ১৩ নং ওমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া গ্রামে। হাসান পিতা মৃত গালিম মন্ডল ও আকমাল পিতা আবু বক্কার উভয়ী রয়েড়া গ্রামের বাসিন্দার । শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই জনের মধ্যে টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে শনিবার সকালে খিরা ও মিজান গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাদে এতে দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। মিজান বিএনপি’র উপজেলা কমিটির সিনিয়র সদস্য ও খিরা স্থানীয় বিএনপি নেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হাসান, আকমলের কাছে ধারের দুই হাজার টাকা পায় আর আকমল হাসানের মেশিন সারা বাবদ ২হাজার টাকা পায়। আকমল হাসান এর কাছে টাকা চাইতে গেলে হাসান তার পাওনা টাকার সাথে এই টাকাকে কাটাকাটি করতে চাই এতেই বাদে বিপত্তি। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি হয় পরবর্তীতে স্থানীয়রা গোলমাল থামীয়ে দেয় । এটা নিয়ে বিএনপি নেতা মিজান ও খিরার সমর্থকরা রাতভর মারামারির প্রস্তুতি নেয়। এক পর্যায়ে ভোর হতেই দু গ্রুপের মধ্যে বাদে সংঘর্ষ। এতে দুপক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয় । আহতরা হলেন,
পলাশ মোল্লা , সাইদুল, আব্বাস , পিকুল , সাইদুল, রেজাউল, সাদ্দাম, রাজু, বাবুল, আব্দুস সালাম, ওয়াজেদ আলী ,নাহিদ হোসেন, গোলজার, হেলাল,আজিজুল, মহিদুল,আলামিন, কামরুল,
নাসিমা সহ অর্ধশতাধিক আহত হয় । মিজান জানান খিরা আওয়ামী লীগ নেতা গোহরের লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। এদিকে খিরা জানান মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা মুসার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করেছে।এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান জানান এ ঘটনায় পুলিশ মোতায়েন আছে, এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।